অসমাপ্ত!

 


মোবাইলে র রিংটোনের শব্দে ঘুম ভাঙল তানুজার।রাত্রি তিনটে পনেরোয় চৈতির ফোন।ঘুম চোখে recieve করলো।"কি রে এত রাতে ফোন কেন?" বিপরীতে ভেসে আসা কথা গুলি শুনে মুহূর্তের জন্য ওর পায়ের তলার মাটিটা যেন সরে গেল।

ফোনের ওপারে চৈতির মা। কান্নায় আধ ভাঙা কথা গুলো যেন হৃদয় কে এফোড় ওফড় করে দিয়ে গেল।

'চৈতি আর নেই'

। যাওয়ার আগে শুধু আমার নামে অভিমানের, না পারার ব্যর্থতা এঁকে দিয়ে গেছে।

প্রকৃতির বিরুদ্ধে যে গোপন খেলা তা সবার চোখের আড়াল করে এক তুচ্ছ কারণে চলে যাওয়ার ছবি এঁকে আমায় একলা ময়দানে ফেলে রেখে সে পালিয়েছে।

এই কদিনের অভিমানী মুহূর্তের বিচ্ছিন্ন তাই এমনটা ঘটে যেতে পারে।আমার নিশ্চল প্রতিক্রিয়া শূন্য মনটা আর নিতে পারছিল না।

অপেক্ষার ঘুম যে ভেঙেছে।একটা বড় নাটকের যবনিকা ।এবার ছুটি।

সে ছুটছিলো দিগ্বিদিক ভুলে।কষ্টগুলো চাপা রক্তের মতো মাটির সাথে লেপ্টে যাচ্ছে।দুচোখের নোনাস্রোতে তারা জেগে উঠছে না।

শবদেহ মোড়া কাফনে আমি দুজন কে দেখলাম হঠাৎ।শরতের নীল কাজল তাদের অঙ্গসজ্জা।মঙ্গলধুপে বরণ করে নিচ্ছে ফেরেশতারা।আর প্রকৃতি দিচ্ছে চিরনিদ্রার আশ্বাস।

Comments

Popular posts from this blog

জাভেদ স্যার.

মেঘ বৃষ্টি আলো

চশমা.